রবিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ১০:৪৪ অপরাহ্ন
বেশ বিরক্ত বাংলা গানের জনপ্রিয় শিল্পী
নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি। কোন ব্যক্তিগত বিষয় আর ব্যক্তিগত থাকছে না। সব
পাবলিক হয়ে যাচ্ছে। তার উপর মানুষের আজে বাজে কমেন্ট। যা মানসিকভাবে বিব্রত
করছে তাকে। এই সবের জন্যই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুককে বিদায় জানালেন
শিল্পী।
আজ সমকাল অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানালেন ন্যান্সি। বরং গান ও পরিবারকে সময় দেয়াটাই এখন তার জন্য উত্তম বলে বলে মনে করেন তিনি। কারণ মেয়েরা এখন বড় হচ্ছে। তাদের সুষ্ঠুভাবে বেড়ে উঠার পরিবেশ তৈরি করে দেয়াটাই এখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন জানালেন ন্যান্সি।
হুট করে ফেসবুকের উপর বিরক্ত কেন? জানতে
চাইলে ন্যান্সি বলেন, ‘ফেসবুকে আমার অসংখ্য ফেইক আইডি রয়েছে। যেগুলোর
জন্য বিভিন্ন সময় বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। দেখা যায় অনেকে সেই ফেইক
আইডির সঙ্গে চ্যাট করে। দেখা হলে বলে, আমাকে চেনেন না আাপা আমি ফেসবুকে
আপনার সঙ্গে চ্যাট করি। বিষয়গুলোতে বেশ বিব্রত করে আমাকে। ’
যোগ
করে ন্যান্সি আরও বলেন, ‘ফেসবুকটা আমরা মিস ইউজ করি। ফেসবুকে অ্যাকাউন্টের
পাশাপাশি আমার একটা পেজও ছিলো। মবাই যেন বুঝে পেজটা আমার আসল। এই জন্য
প্রতি সপ্তাহে এতে লাইভেও আসতাম। পরে দেখা যায় লাইভের সেই ভিডিওগুলো নিয়ে
অন্যরা ইডিট করে নেতিবাচক ভাবে উপস্থাপন করে ইউটিউবে আপলোড করে দেয়। এগুলো
এখন আর দেখতে ভালো লাগে না। তার উপর আবার নিজের আইডিতে পারিবারিক কিছু ছবি
আপলোড করে সেগুলো পাবলিক না করে শুধু ফেন্ডস মুড করে আপলোড করলেও সেগুলো
কে বা কারা ছড়িয়ে দিচ্ছে। ঘরোয়া ড্রেসের সেই ছবিগুলো নিয়ে আমার সঙ্গে
যোগাযোগ না করেই নিউজ করে দিচ্ছেন অনেকে। যে ছবিগুলো ফ্রেন্ডদের বাইরে কেউ
দেখুক সেটা আমি চাচ্ছি না। কিন্তু প্রকাশ করে দিচ্ছে। এই সব থেকে বাঁচতেই
ফেসবুককে বিদায় জানালাম। এখন থেকে ফেসবুকে আমার কোন অ্যাকাউন্ট থাকবে না।
যেগুলো পাবেন সেগুলোর সব ফেইক। আশা করি আমার শ্রোতারা বিষয়টি বুঝতে
পারবেন।’
ফেইক
অ্যাকাউন্ট থেকে সবাইকে সাবধান থাকতে আহবান করেছেন ন্যান্সি। সেই সঙ্গে কবে
আবার ফেসবুকে আসবেন জানতে চাইলে ন্যান্সির ভাষ্য, আপাতত ফেসবুকে আসার
ইচ্ছে নেই। তবে কখনও যদি নিরাপদ মনে করি তখন আসতেও পারি।
জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী ন্যান্সি। ২০০৬ সালে ‘হৃদয়ের কথা; চলচ্চিত্রের গান গেয়ে যাত্রা শুরু হয় তার। ২০০৯ সালের তার প্রথম অ্যালবাম ভালোবাসা ‘অধরা’ প্রকাশ পায়। ২০১১ সালের প্রজাপতি চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়ে তিনি প্রথমবারের মত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়া মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার-এ ২০১০ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত টানা সাতবার তারকা জরিপে শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী (নারী) বিভাগে পুরস্কার অর্জন করেন।